হায়েজ অবস্থায় কি কি আমল করা যাবে আর হায়েজ অবস্থায় কি কি আমল করা যাবে না।
হায়েজ কি
?
হায়েজ:- আর তারা আপনাকে মাসিক (রজঃস্রাব) সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, তা ‘অশুচি’। কাজেই তোমরা রজঃস্রাবকালে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাক এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত (সংগমের জন্য) তাদের নিকটবর্তী হবে
না। ......... সুরা
বাকারা আয়াত নাম্বার ২২২।
أذى - এর এক অর্থ, কষ্ট। আরেক অর্থ, অপবিত্রতা, অশুচি। দুটি অর্থই শুদ্ধ।
হায়েজ বা রজঃস্রাবঃ- মাসিক বা ঋতুস্রাব মেয়েদের দেহের একটি সাধারন ঘটনা যা প্রজননের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রতি মাসে এটি হয় বলে বাংলায় সাধারণত মাসিক বলা হয়। প্রজননের উদ্দেশ্যে নারীর ডিম্বাশয়ে ডিম্বস্ফোটন হয় এবং তা ফ্যালোপিয়ন টিউব দিয়ে জরায়ুতে চলে আসে এবং ৩ দিন থেকে ৪ দিন অবস্থান করে। এ সময় যদি পুরুষের সঙ্গে যৌনমিলনের মাধ্যমে নারীর জরায়ুতে শুক্র না-আসে এবং এই না-আসার কারণে যদি ডিম্ব নিষিক্ত না হয় তবে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং জরায়ুগাত্রের অভ্যন্তরতম সরস স্তর(এন্ডমেট্রিয়াম) ভেঙ্গে পড়ে। এই ভগ্ন ঝিল্লি, সঙ্গের শ্লেষ্মা ও এর রক্ত বাহ থেকে উৎপাদিত রক্তপাত সব মিশে তৈরী তরল এবং তার সংগে এর তঞ্চিত এবং অর্ধ-তঞ্চিত মিশ্রণ কয়েক দিন ধরে লাগাতার যোনিপথে নির্গত হয়।
মাসিক বা রজঃস্রাব সাভাবিক অবস্থায় নয় বছর থেকে তের বছর বয়সে যে কোন সময় মাসিক শুরু হয় এবং পঁয়তাল্লিশ থেকে ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে স্বাভাবিক নিয়মেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ
রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা
বলেন, আমার বান্দা যখন আমার জিকির করে আমার জন্যে তার দুই ঠোঁট
নড়ে তখন আমি তার কাছে থাকি।
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত) অধ্যায়ঃ পর্ব -৯ দুআ হাদিস নম্বরঃ ২২৮৫
হায়েজ অবস্থায় কি কি করা যাবে। অর্থাৎ হায়েজ অবস্থায় করনীয় কি কি।
হায়েজ অথবা
প্রিয়োড অবস্থায় কি কি আমল করা যাবে তা নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। আজ আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব ইংশা আল্লাহ্। হায়েজ অথবা পিরিয়ড অবস্থায় কি কি আমল করা যাবে আর কি কি আমল করা
যাবে না, বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
- নাপাক(হায়েজ) অবস্থায় দরুদ পড়া যাবে।
- হায়েজ অবস্থায় কুরআন শোনা যাবে।
- হায়েজ অবস্থায় হাদিস পড়া যাবে।
- হায়েজ অবস্থায় দোয়া পড়া যাবে।
- হায়েজ অবস্থায় দরুদ পড়া যাবে।
- হায়েজ অবস্থায় আজানের উত্তর যাবে।
- নাপাক অবস্থায় আল্লাহর নাম নেয়া যাবে।
- হায়েজ অবস্থায় আয়াতুল কুরসি পড়া যাবে।
অর্থাৎ
হায়েজ অবস্থায় সব ধরণের
জিকির ও দোআ করা যাবে।
কোন সমস্যা নেই।
যে ব্যক্তি অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিকির
করে।
আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাবস্থায় মহামহিয়ান আল্লাহর জিকির করতেন।
সুনান আবূ দাউদ অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা অর্জন
( كتاب الطهارة ) হাদিস নম্বরঃ
১৮। এই হাদিস আর পাবেনঃ-সহীহ বুখারী অধ্যায়ঃ
১০/ আজান হাদিস নম্বরঃ-৬০৬। সহীহ বুখারী অধ্যায়ঃ ৬/ মাসিক হাদিস নম্বরঃ- ২৯৯।
এই বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পরিবর্তনে
জ্ঞানী লোকেদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে। সূরা আল ইমরান ১৯০-১৯১। এমন কি ওজু করারও দরকার
নেই।
হায়েজ অবস্থায় কি কি করা যাবে না। অর্থাৎ অর্থাৎ হায়েজ অবস্থায় বর্জনীয় কি কি।
হায়েজ অবস্থায় হাতে স্পর্শ করে কুরআন পড়া যাবে না।
এই বিষয়ে সকল আলেম একমত। কোন দ্বিমত নেই।
- হায়েজের সময় মিলন করা যায় না।
- হায়েজ অবস্থায় রোজা রাখা যাবে না।
- হায়েজ অবস্থায় সহবাস করা যাবে না।
- হায়েজ অবস্থায় নামাজ পড়া যাবে না।
- হায়েজ অবস্থাই কাবা তাওয়াফ করা যাবে না।
দলিলঃ- সুরা আল বাকারা আয়াত নাম্বার ২২২। সহিহ বুখারী অধ্যায়ঃ ৬/ মাসিক হাদিস নম্বরঃ- ২৯৮ থেকে ২৯৯।
হায়েজ বা মাসিক অবস্থায় যে সকল আমল করা
যাবে, নেফাস অবস্থায় সেই সকল আমল করা যাবে। হায়েজ বা মাসিক অবস্থায় যে সকল আমল করা
যাবে না, নেফাস অবস্থায় সেই সকল আমল করা যাবে না।
এটিও পড়ুন!
Good
ReplyDelete