আমাদের সমাজে একটি কোমন সমস্যা হলঃ- ছোট বাচ্চা প্রচুর পরিমাণে কান্নাকাটি করে। কোন কিছুতে থামতে চাইনা। ঘুমের মাঝে চমকে ওঠে। প্রচুর ভয় পাই। আর পরিবারের সবাই অস্থির হয়ে যাই। বিশেষ করে ০ থেকে ০৪ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে। তবে এই সমস্যা খুব বেশী দেখা যাই ০ থেকে ১ বছরের মাঝে। এটা মুলত মাগরিব আজানের কিছুক্ষণ আগে থেকে সকাল পর্যন্ত শিশুকে ঘরের বাইরে বের করা। তাই আমরা এই বিষয়ে খেয়াল রাখব, জেন এমনটি না হয়।
এই বিষয়ে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে যখন সন্ধ্যা হয় তখন তোমাদের সন্তানদের ঘরে আটকিয়ে রাখবে কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। সহীহ বুখারী অধ্যায়ঃ ৬১/ পানীয় দ্রব্যসমূহ হাদিস নম্বরঃ ৫২২১
যদি কখনো এমন হয় যে ছোট বাচ্চা খুব বেশী কান্নাকাটি করছে, তাহলে
(০১) সূরা নাস, ফালাক, ও ইখলাস একবার করে বলে আপন দুটি হাতকে পাশাপাশি (দুই হাত তুলে যখন আমর মোনাজাত করি এমন ভাবে) রেখে একবার ফুঁ দেবেন আর ওই শিশুর শরীরে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাসা(স্পর্শ) করবেন। তিনবার। প্রতি বার সূরা নাস, ফালাক, ও ইখলাস একবার করে বলে। প্রতিটি সূরা বলার আগে বলবেন “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজিম' বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম”
(০২) সূরা ফাতিহা, নাস, ফালাক, ও ইখলাস, সূরা কাফিরুন, ও আয়তাল কুরসি একবার করে বলে মাঝে মাঝে বাচ্চার শরীরে ফুঁ দেবেন।
(০৩) বাসায় প্রবেশ করার সময় সালাম দেয়া। আর পরিবারের মাঝে সালামের প্রচার করা।
এতে করে শয়তান বাসা থেকে পালিয়ে যাবে।সহীহ মুসলিম অধ্যায়ঃ ৩৯/ শিষ্টাচার হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪১
যখন ওই ঘরে প্রবেস করবেন তখন সালাম দেবেন। ঘরে কেউ থাক বা না থাক।
(০৪) যখন দুধ খেতে দেবেন তখন অবশ্যই “বিসমিল্লাহ্” বলবেন।
(০৫) এক গ্লাস পানি নেবেন আর সূরা ফাতিহা, নাস, ফালাক, ও ইখলাস বলে পানিতে ফুঁ দেবেন আর কিছু অংশ খাবেন আর বাকি অংশ দিয়ে আপনার স্তন দুটি ধুয়ে দেবেন।
(০৬) ঘরে সূরা বাকারা পুরো বাজাবেন মোবাইল ফোন দিয়ে। দিনে কমপক্ষে একবার। বিশেষ করে রাতে।
(০৬) তার পরেও যদি শয়তান বেশী বিরক্ত করে তবে
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামা-ই ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম। আল্লাহ তাআলার নামে, যার নামের বরকতে আকাশ ও মাটির কোনো কিছুই কোনো অনিষ্ট করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। আল-আদাবুল মুফরাদ অধ্যায়ঃ দোয়া- দুরুদ হাদিস নম্বরঃ ৬৬৫
আমাদের যা যা বর্জন করতে হবে করতে হবেঃ-
(০১) ঘরে কোন প্রকার ছবি মূর্তি না রাখা। যেমনঃ- শোকেসের ভিতর ছোট ছোট খেলনা পুতুল। পশু পাখী ইত্যাদি। এবং মানুষের ছবি।
শোকেসে সাজানো ছোট ছোট পুতুল বা মূর্তি আর হিন্দু ধর্মের মূর্তির মাঝে তেমন কোন পার্থক্য নেই। শুধু আকারে।
(০২) বাচ্চার শরীরে কোন প্রকার তাবিজ, কালো টীপ ও কোমরে কোন প্রকার সূতা রাখা যাবে না।
বিশেষ করে যদি বাচ্চা দুধ খাইনা কান্না করে অথবা স্তন প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করে। অথবা স্তন শুকিয়ে যাচ্ছে।
এক গ্লাস পানি নেবেন আর সূরা ফাতিহা, নাস, ফালাক, ও ইখলাস (সাথে আয়তান কুরসি যদি মুখস্ত থাকে তাহলে সেটাও বলবেন) বলে পানিতে ফুঁ দেবেন আর কিছু অংশ খাবেন আর বাকি অংশ দিয়ে আপনার স্তন দুটি ধুয়ে দেবেন। আরেকটি কথাঃ- যদি কোন ছাগন বা গাভির ছান দুধ না খাই বা ছানাকে দুধ কেথে না দেই তাহলেও এই পদ্ধতি কাজে লাগবে।
এই আমলটি পরীক্ষিত আমল। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
ইংশা আল্লাহ্ সব কিছু ঠিক হবে। কার দরকার নেই। মহান আল্লাহ্ আমাদের ক্ষমা করুন।
এটিও পড়ুন...
No comments:
Post a Comment