খাঁটি ও ভেজাল মুক্ত পণ্য। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি। হলুদ, মরিচ, কলায়ের আটা সম্পূর্ণ ভেজাল মুক্ত। বিভিন্ন ধরণের আম। হাতে সেলাই করা বিভিন্ন ধরণের কাঁথা।

কোরআন তেলাওয়াত। মাসিক বা হায়েজ অবস্থায় কুরআন পড়া যাবে কি? নেফাস অবস্থায় কুরআন পড়া যাবে কি ?

মাসিক অবস্থায় কুরআন পড়া যাবে কি? অর্থাৎ হায়েজ অবস্থায় কোরআন পড়া যাবে কি?



মাসিক অবস্থায় কুরআন পড়া (কোরআন তেলাওয়াত করা) যাবে কি?
মাসিক অবস্থায় হাতে স্পর্শ করে কুরআন পড়া যাবে না। এই বিষয়ে সকল আলেম একমত। তবে  স্পর্শ না করে মুখস্থ  কুরআন পড়া যাবে কি না, এটি নিয়ে আলেমদের মাঝে মতভেদ আছে। তবে আমরা দুটি মতামত নিয়ে আলোচনা করব।

যারা বলে হায়েজ অবস্থায় মুকুস্থ কুরআন পড়া যাবে না
এক শ্রেণীর আলেমগণ বলছে যে মাসিক অবস্থায় কুরআন পড়া যাবে না। তাদের দলিল হোলঃ-
হায়েজ বিশিষ্ট মহিলা এবং যাদের উপর গোসল ফরয তারা কুরআন তিলওয়াত করতে পারবে না। নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন হায়েজ বিশিষ্ট মহিলা এবং যাদের উপর গোসল ফরয তারা কুরআনের কিছুই তিলওয়াত করতে পারবে না
সূনান তিরমিজী অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা হাদিস নম্বরঃ ১৩১
এই হাদিসের আলোকে বলা হয় যে কুরআন পড়া সম্পূর্ণ নিষেধ
আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারা আয়াত ২৫৫) সূরা নাশ, সূরা ফালাক, সূরা ইখলাস ও সূরা মুলক ইত্যাদি। অর্থাৎ আল কোরআনে বর্ণিত যত গুলি সূরা বা আয়াত আছে সেই সকল আয়াত বা সূরা দুআ হিসেবে পড়তে পারবেকারন এই গুলি দুআ ও জিকিরে অন্তর্ভুক্ততবে শর্ত হল মুখস্থ

যদি ঐ নারি হাফেজা বা কুরআনের শিক্ষকা অথবা ছাত্রী হয়
যদি এমন হয় যে "ঐ নারী হাফেজা, আর কুরআন ভূলে যাবার আসঙ্কা থাকে তাহলে মনে মনে কুরআন পড়তে পারবেনতবে মূখে উচ্চারণ করে নয়আর কেউ কুরআন পাতা খুলে রাখবে আর উলটিয়ে দিবে আর নিজে মনে মনে পড়তে পারবেকোন সমস্যা নেই

যদি কোন নারী কুরআনের শিক্ষকা অথবা ছাত্রী হয় তাহলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবেতবে মনে রাখতে হবে যে কুরআনের আয়াত স্পর্শ করে নয়

যারা বলে হায়েজ অবস্থায় মুকুস্থ কুরআন পড়া যাবে

যারা বলে মুকুস্থ কুরআন পড়া যাবে তাদের দলিল হোল এই হাদিস

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সঙ্গে হজ্জের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলামআমরা সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলে আমি ঋতুবতী হইএ সময় নবী (সঃ) এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! এ বছর হাজ্জ (হজ্জ) না করাই আমার জন্য পছন্দনীয়তিনি বললেনঃ সম্ভবত তুমি ঋতুবতী হয়েছআমি বললাম, ‘হ্যাঁতিনি বললেনঃ এ তো আদম কন্যাদের জন্য আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেনতুমি পাক হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য হাজীদের মত সমস্ত কাজ করে যাও, কেবল কাবার তাওয়াফ করবে না
সহীহ বুখারী অধ্যায়ঃ ৬/ মাসিক হাদিস নম্বরঃ- ২৯৯

উপরের হাদিসে এটা স্পষ্ট অন্যান্য হাজীদের মত সমস্ত কাজ করে যাও, কেবল কাবার তাওয়াফ করবে না

আর কুরআন পড়া যাবে না মর্মে যে হাদিসটি আছে তা জঈফ। যার উপর আমল করা যাবে না। নাবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন হায়য বিশিষ্ট মহিলা এবং যাদের উপর গোসল ফরয তারা কুরআনের কিছুই তিলওয়াত করতে পারবে না

সূনান তিরমিজী অধ্যায়ঃ ১/ পবিত্রতা হাদিস নম্বরঃ ১৩১হাদিসের মানঃ মুনকার (সর্বদা পরিত্যক্ত)

যেহেতু কোথাও নিষেধ নেই তাই আমরা কখনো নিষেধ করতে পারি না। যেহেতু মাসিক অবস্থাই কাবার তাওয়াফ করা যাবে না। বাকি হজের সকল আমল করা যাবে। এই মতে মুখস্ত কুরআন পড়তে কোন দোষ নেই।  

তবে কেউ যদি সতর্কতা বসত কুরআন না পড়ে তবে কোন সমস্যা নেই


এটিও পড়ুন 

Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts