খাঁটি ও ভেজাল মুক্ত পণ্য। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি। হলুদ, মরিচ, কলায়ের আটা সম্পূর্ণ ভেজাল মুক্ত। বিভিন্ন ধরণের আম। হাতে সেলাই করা বিভিন্ন ধরণের কাঁথা।

পুরো দিনের জিকির ও দোয়া। কালো জাদু জিন শয়তান থেকে বাঁচুন ও সকল প্রকার বিপদ থেকে বেঁচে থাকার উপায়।

পুরো দিনের জিকির ও দোয়া।

পুরো দিনের জিকির ও দোয়া।
ইসলামি জীবন বিধান এমন বিধান যে, এখানে ঘুম থেকে ওঠে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত সব কাজে নেকি আর নেকি। এমনকি আপনি ঘুমাবেন অথছ ফেরেস্তারা নেকি লিখতে থাকবে। যদি আমরা এমন নেকি পেতে চাই তাহলে আমাদের কাজের কিছু সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যত কিছু ভাল কাজ করবো মনে করবো যে মহান আল্লাহ ভাল কাজ কোরতে বলেছে তাই করছি। আল্লাহ্‌কে খুসি করার জন্য। ধরুন আপনি রান্না করবেন "রান্না করার আগে বলবেন বিসমিল্লাহ্‌। আর মাঝে মাঝে বিবিন্ন জিকির, দুয়া,সুরা  অর্থাৎ আল্লাহ্‌কে স্মরণ করবেন আসতে আসতে অথবা মনে মনে। যেমনঃ- আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবর, আস্তাগফিরুল্লাহ ইত্যাদি।

খাবার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। 
শয়তান তাহলে আপনার সাথে খেতে পারবে না। রিয়াযুস স্বা-লিহীনস 
অধ্যায়ঃ ৩/ পানাহারের আদব-কায়দা হাদিস নম্বর ৭৩৬

খাওয়ার শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা। 
মিশকাতুল মাসাবীহ অধ্যায়ঃ পর্ব ২১  খাদ্য হাদিস নম্বরঃ ৪২০৫
আল্লাহতাআলা বলেছেন-যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন'। সূরা ইব্রাহিম আয়াত ০৭
 
বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া।ও বাথরুমে থেকে বের হওয়ার দোয়া বলা। 
বাথরুমে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ্‌ বলা। বিশেষ করে পাবলিক টয়লেটে অবশ্যই বলতে হবে। এখানে প্রছুর পরিমাণে দুষ্টু জীন বা শয়তান থাকে। তার পর নিচের দুয়া বলতে হবে। 
 
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ 
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা, মিনাল খুবসি ওয়াল খবা-ইস।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি খারাপ জ্জিন ও খারাপ শয়তান থেকে।
 
ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ اَللَّهُمَّ 
উচ্চারণ : গুফরানাকা আল্লাহুম্মা। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে ক্ষমা চাই।’ 
সূনান তিরমিজী অধ্যায়ঃ ৬/ সফর হাদিস নম্বরঃ ৬০৬
 
সর্বাবস্থায়বিসমিল্লাহ্   বলা। এমনকি  সহবাসের পূর্বেও বিসমিল্লাহ্‌ বলে  সহবাসের দোয়া বলা। সহীহ বুখারী অধ্যায়ঃ ৪/ উযূ হাদিস নম্বরঃ ১৪১
 
বাসায় প্রবেশ করার সময় সালাম দেয়া। আর পরিবারের মাঝে সালামের প্রচার করা।
এতে করে শয়তান বাসা থেকে পালিয়ে যাবে। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ আমল। ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দেয়া। এতে করে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর সর্বাধিক কাছাকাছি মানুষ ওই ব্যক্তি; যে সর্বপ্রথম সালাম দেয়। সহীহ মুসলিম  অধ্যায়ঃ ৩৯/ শিষ্টাচার  হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪১।
 
ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়া। ও ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়া। আয়াতুল কুরসির ফজিলতঃ- 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়েন, তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। 
যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে। সর্বদা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য একজন হেফাজতকারী  ফেরেশতা থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।’ 
রিয়াযুস স্বা-লিহীন অধ্যায়ঃ ৯/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে  হাদিস নম্বরঃ ১০২৭।
 
এই দুয়াটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়। 
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় এই দোয়াটি তিনবার পড়লে আর কোনো ধরণের ক্ষতি হবে এমনটি হতে পারে না
 
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ 
বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামা-ই ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম। 
আল্লাহ তাআলার নামে, যার নামের বরকতে আকাশ ও মাটির কোনো কিছুই কোনো অনিষ্ট করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। আল-আদাবুল মুফরাদ  অধ্যায়ঃ  দোয়া- দুরুদ  হাদিস  নম্বরঃ ৬৬৫
 
সকাল সন্ধ্যার দোয়া ও জিকির 
সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার সূরা কুল হুয়াল্লাহু (সূরা ইখলাস), সূরা নাস ও ফালাক পড়তে হবে। এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। নিরাপত্তার জন্য যে ৩টি সুরার আমলই যথেষ্ট। 
সুনান আবূ দাউদ  অধ্যায়ঃ ৩৬/ শিষ্টাচার  হাদিস নম্বরঃ ৫০৮২।
 
ঘুমানোর আগে  দোয়া ও জিকির 
বিসমিল্লাহ্‌ বলে খাবার ঢেকে রাকা। বাসা ঘরের দরজা বন্ধ করা। তিনবার বিছিনা ঝেড়ে নেয়া। ঘুমনোর আগে সুরা কাফিরুন পড়া। কেননা, এ সূরা শিরক থেকে মুক্তিদানকার 
সুনান আদ-দারেমী অধ্যায়ঃ ২৩. কুরআনের ফযীলত অধ্যায় হাদিস নম্বরঃ ৩৪৬৬। 
৩৪ বার আল্লাহু আকবার ৩৩ বার  সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ বলা।  এতে করে শরীরে অনেক শক্তি পাবেন। দিনে কাজ করে ক্লান্ত হবেন না। ইংশা আল্লাহ্‌। সহীহ বুখারী  অধ্যায়ঃ ৬২/ সহাবীগণ [রাযিয়াল্লাহ ‘আনহুম]-এর মর্যাদা  হাদিস নম্বরঃ ৩৭০৫

সূরা নাস, ফালাক, ও ইখলাস একবার করে বলে আপন দুটি হাতকে পাশাপাশি (দুই হাত তুলে যখন আমর মোনাজাত করি এমন ভাবে) রেখে একবার ফুঁ দেবেন আর শরীরে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মাসা(স্পর্শ) করবেন তিনবার প্রতি বার সূরা নাস, ফালাক, ও ইখলাস একবার করে বলে প্রতিটি সূরা বলার আগে বলবেন আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজিম' বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

 
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ ، وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ 
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদ, ওয়াহুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর প্রতিদিন সকালে ১০০বার পড়া। এর অনেক বেশি ফজিলত, এবং জিন-শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচতে এটা পরিক্ষিত আমল।
ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়া 
বাড়ী থেকে বের হওয়ার  সময় নিম্নের দু'আ পড়া। আপনার কাছ থেকে শয়তান দূরে সরে যাবে।
بسم الله توكلت على الله لا حول ولا قوة إلا بالله 
‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি। 
আল্লাহ তাআলার নামে, আল্লাহ তাআলার উপরই আমি নির্ভর করলাম, আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া (মন্দে) বিরত থাকা ও কল্যাণ পাওয়ার শক্তি কারো নেই।
 
ঘরে কোন প্রকার ছবি মূর্তি না রাখা। 
যেমনঃ- শোকেসের ভিতর ছোট ছোট খেলনা পুতুল। পশু পাখী ইত্যাদি। এবং মানুষের ছবি। -শোকেসে সাজানো ছোট ছোট পুতুল বা মূর্তি আর হিন্দু ধর্মের মূর্তির মাঝে তেমন কোন পার্থক্য নেই। শুধু আকারে। 
মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন আর আমল করার তৌফিক দান করুন।
আর তারা বলবেযদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতামতাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসী হতাম না।  সূরাঃ ৬৭আল-মুলক আয়াত নম্বর ১০

 

 

এটিও পড়ুন... 








Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts